Shakti Peethas of Bengal (3):Sugandha Shakti Peeth


Sugandha Shakti peeth is a temple dedicated to Goddess Sunanda. It is located in the village of Shikarpur, 10 miles north of Barisal, in Bangladesh. Sugandha Shakti Peeth is one of the 51 Shakti Peethas.

It is said that the nose of Maa Sati fell here. The idol of Maa Sati is called as ‘Sunanda’ and lord Shiva is worshipped as ‘Traimbak’. The Bhairav temple is in Ponabalia, located 5 miles south of Jhalkati rail station. Ponabalia is under the village Shamrail situated on the bank of the river Sunanda.

The whole complex of the Sugandha shakti peeth is made of stone, with images and statues of gods engraved on them. The sculptures presents are mesmerizing. Shine of the marble the temple is constructed of and its reflection on the water of the river is surely one thing that people do not want to miss out here.

The exact year of the establishment of Sugandha shakti peeth is unknown. But by the looks of it, surely this temple was constructed hundreds of years ago.




পীঠ নির্ণয়ের তন্ত্র অনুসারে সতীপীঠের তৃতীয় পীঠ হল বাংলাদেশের বরিশালের উগ্রতারা মন্দির৷ এখানে পড়েছিল দেবীর নাসিকা৷ মন্দিরে যে মূর্তি আছে তাকে দেবী সুনন্দা বলা হয়,পূর্ণার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ বরিশালের সতীপীঠে আসেন৷

লেখনী ও কাব্যপ্রতিভাগুণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।

সেই কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর অন্নদামঙ্গল কাব্যে লিখেছেন—

 'সুগন্ধায় নাসিকা পড়িল চক্রহতা৷

ত্র্যম্বক ভৈরব তাহে সুনন্দা দেবতা'৷

বাঙালির ধর্ম,কর্ম,আচার-অনুষ্ঠান,সাহিত্যে মাতৃভাবের প্রভাব পরিলক্ষিত৷ মাতৃসাধকেরা আদ্যাশক্তির দুটি রূপ দেখেন,এক রূপে তিনি চণ্ডী ও দুর্গা,অন্যদিকে কালিকা৷

পুরাণ অনুসারে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে, বাংলাদেশের বরিশালের সুগন্ধা ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম ৷ পীঠ নির্ণয়ের তন্ত্র অনুসারে সতীপীঠের তৃতীয় পীঠ হল বাংলাদেশের বরিশালের উগ্রতারা মন্দির৷ এখানে পড়েছিল দেবীর নাসিকা৷


 দেবীর নাম সুনন্দা,ভৈরব হলেন ত্র্যম্বক৷ বরিশাল শহর থেকে কিছু কিমি দূরে শিকারপুর বাজার৷ সেখান থেকে একটু দূরে শিকারপুর গ্রামে সুগন্ধা/ সুনন্দা দেবীর পীঠস্থান৷ অতীতে ওই স্থান গভীর অরণ্যে আবৃত ছিল৷

ভৈরব ত্র্যম্বকেশ্বর সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনী হল শিকারপুরের বিত্তশালী রাজা/জমিদার রাম রায় (দু'একটি লেখায় রাজার নাম রামভদ্র দেখেছি)  স্বপ্নে দেখলেন এক জটাজুটধারী দীর্ঘদেহী তাকে বলছেন সামরাইলের জঙ্গলে একটি ঢিবি রয়েছে সেখানে তিনি আছেন,দীর্ঘ দিন কষ্ট ভোগ করছেন,তাকে শীঘ্র উদ্ধার করা হোক৷ রাজা পরদিন লোকজন নিয়ে জঙ্গলের পাশে গেলেন সেখানে কিছু রাখাল গরু চরাচ্ছিল,রাখালদের রাজা তাদের সঙ্গী হতে বললে তারা বলল গত কয়েকদিন সাংঘাতিক ঘটনা ঘটছে৷রাজা জানতে চাইলেন কি সেই ঘটনা? রাখালদের মধ্যে একজন বলল তারা বনে গরু চরাতো,কিছুদিন গাভীগুলি পরিমাণ মত দুধ দিচ্ছে না৷ গৃহস্বামীরা তাদের তিরষ্কার করে বলত তারা চুরি করে দুধ দোহন করে৷ এসব শুনে রাখালরা গরুগুলির উপর লক্ষ রাখতে লাগল,তখন তারা অবাক হয়ে দেখল গাভীগুলি জঙ্গলে ঢুকে একটি ঢিবির ওপরে অবিরল ধারায় দুধ দান করছে৷ এরপর রাখালরা গরুগুলিকে তাড়িয়ে এনে ঢিপির পাশে শুকনো পাতা জড় করে আগুন জ্বালিয়ে দিল৷ তখন রাখালরা দেখল একটি কৃষ্ণকায় বালিকা জ্বলন্ত আগুনের পাশ দিয়ে ছুটে বেরিয়ে জলাশয়ে ঝাঁপ দিল৷ এরপর রাজা তাঁর অনুচরদের নিয়ে ওই স্থান খনন করতে করতে শিবলিঙ্গ পেলেন,কিন্তু মূর্তিটিকে হাজার চেষ্টা করেও মাটি থেকে তোলা গেল না৷ সেই রাতে রাজা আবার রাজা দেবতার স্বপ্নাদেশ পেলেন,তিনি রাজাকে বললেন- তিনি ত্র্যম্বকেশ্বর মহাদেব,তার মন্দির প্রতিষ্ঠা করুন রাজা ৷ তবে আচ্ছাদন থাকবে না৷ রাজা অতি সত্বর সেই কাজ করলেন, শিব এখানে ত্র্যম্বকেশ্বর রূপে পূজিত হতে লাগলেন৷

শিকারপুরের পঞ্চানন চক্রবর্তী এই ঘটনার কিছুদিন পরে স্বপ্নে দেখেন দেবী কালিকা তাকে বলছেন —বৎস,সুগন্ধা নদী গর্ভে ঢলে পড়া বটগাছের তলায় তাঁর শিলারূপ নিমজ্জিত,তিনি যেন তাকে মুক্ত করেন৷ পরদিন পঞ্চানন নদীতে স্থান করে দেবীর মূৃতি উদ্ধার করে পুজো করতে শুরু করেন আপন গৃহে৷ পরে রাজা সুগন্ধার তীরে ত্র্যম্বকেশ্বর শিবের মন্দিরের পাশে দেবী সুনন্দার মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন৷

 মন্দিরে যে মূর্তি আছে তাকে দেবী সুনন্দা বলা হয়৷ দেবীর উগ্রতারা রূপ,এখানে দেবীর নাসিকা পতিত হয়েছিল৷ অতীতের সেই মন্দিরটি নেই,নতুনভাবে সেখানে মন্দির নির্মিত হয়েছে৷ 


গ্রন্থঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ভারতের ৫১পীঠ ও মাতৃসাধনার উৎস,শ্রী মধুসূদন



Comments

Popular posts from this blog

Ram Sita Coin from Akbar's Era

Jagannath Mandir, Mirgoda, Purba Medinipur

Manasa Mangal Kavya