Posts

Showing posts from August, 2021

Vintage Still of Janmastami in Dhaka, Pre-partition Era

Image
 

RamSita Mandir, Keshpur, Paschim Medinipur

Image
  রামসীতা মন্দির, শ্যামচাঁদপুর,  একশ' বছরের বেশি বয়স হয়েছে, এমন মন্দির এই শ্যামচাঁদপুর গ্রামে অনেকগুলিই। তারমধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে। সেটি নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। মন্দিরের কথায় যাওয়ার আগে, গ্রামটির দিকে একবার তাকিয়ে নেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ করবার মত অনেকগুলিই বৈশিষ্ট আছে এই গ্রামের। কয়েকটির কথা বলি এখানে-- ১. শ্যামচাঁদপুর থেকে অদূরে আড়রাগড় নামে এক গ্রাম। ব্রাহ্মণভূম পরগণার জমিদার বাঁকুড়া রায়ের রাজধানি ছিল আড়রাগড়ে। ডিহিদার মামুদ শরিফের অত্যাচারে, বর্ধমানের দামিন্যা গ্রামের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে এসে, বাঁকুড়া রায়ের আশ্রয়ে উঠেছিলেন কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। বাঁকুড়া রায়ের পুত্র রঘুনাথ রায়ের শাসনকালে চন্ডীমঙ্গল রচনা করে, "কবিকঙ্কণ " উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন মুকুন্দরাম। সেসময় জমিদারের আরাধ্য দেবী জয়চন্ডীর মন্দির আর লাগোয়া শ্যামচাঁদপুর গ্রামে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন কবি।   ২. এক সময় নারকীয় সতীদাহ প্রথা সাড়ম্বরে প্রচলিত ছিল শ্যামচাঁদপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ছোট আকারের একটি সতী-মন্দির এখনও দেখা যায় শ্যামচাঁদপুর গ্রামে। রাজা রামমোহন রায়

Narmadeshwar Shiva Mandir, Chirimarsai, Paschim Medinipur

Image
  নর্মদেশ্বর শিব মন্দির বাংলার পশ্চিমের অন্যতম প্রান্তিক জেলা মেদিনীপুর। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত মেদিনীপুর ছিল কলিঙ্গ রাজাদের অধিকারে। সেসময় বহু বনেদী পরিবার যেমন  ওডিশা থেকে বাংলায় এসেছে, বাংলা থেকে গিয়েছেও অনেকে। মেদিনীপুরের বহু সম্পন্ন পরিবার  বাংলা লাগোয়া বালেশ্বর জেলায়, বিশেষত সমুদ্র তীরের এলাকাগুলিতে গিয়ে, জমিজমার মালিকানা গড়ে তুলেছিলেন।     মেদিনীপুর শহরের দক্ষিণ দিক ঘেঁষা এলাকা চিড়িমারসাই। সেখানে প্রাসাদের তূল্য পশ্চিমমুখী অট্টালিকা গড়েছিলেন রামগোবিন্দ নন্দী। সাথে করিন্থিয়াম রীতির বড় বড় থাম দিয়ে সাজানো দুর্গামন্ডপ। সামনে নন্দী-পুকুর নামের জলাশয়। বাঁধানো পাকার ঘাট তিনদিকে। পূর্বদিকের ঘাটের গায়ে একটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রামগোবিন্দ। দেবতার নামকরণ হয়েছিল -- নর্মদেশ্বর শিব। পরে পরে জমিদাররা আরও দুটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। চৈতন্যদেব প্রবর্তিত গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম অনুসরণ করে, শৈব ও শাক্ত রীতির পাশাপাশি, বৈষ্ণবীয় রীতিতেও দেবসেবার সূচনা হয়েছে নন্দীবাড়িতে। অট্টালিকার ভিতরেই একটি দালান-মন্দির গড়ে, রাধামাধব নামে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা কর

JishnuHari Mandir, Tamluk, Paschim Medinipur

Image
  জিষ্ণু-হরি মন্দির, পদুমবসান, তমলুক " তমোলিপ্তাৎ পরং স্থানং নাস্মাকং প্রীতিরিষ্যতে "-- প্রীতি প্রদান করতে পারে, তমোলিপ্ত (তাম্রলিপ্ত বা তমলুক) ছাড়া এমন স্থান নাই। একবার শ্রীকৃষ্ণ নাকি অর্জুনকে একথা বলেছিলেন। আর ঘটনা এমনই, একবার সেই তমলুক নগরীতে আসতেও হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণকে।  সম্রাট অশোক আসবার বহু পূর্বেও খ্যাতি ছিল তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের। মহাভারতের কাহিনীতে কয়েকবার এই নগরীর উল্লেখ দেখা যায়। আমরা ৩টি উল্লেখ করি এখানে-- ১. আদিপর্বে দেখা যায়, দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভা আয়োজিত হয়েছিল পাঞ্চালদেশের রাজধানী কাম্পিল্য নগরে। তাম্রলিপ্তের রাজাও উপস্থিত ছিলেন সেই সভায়। ২. সভাপর্ব থেকে জানা যায়, রাজসূয় মহাযজ্ঞের সময়, ভারতবর্ষের প্রত্যেক রাজাকে " সুশিক্ষিত পর্বতপ্রতীম কবচাবৃত সহস্র কুঞ্জর (হাতি) প্রদানপূর্বক দ্বারে প্রবিষ্ট " হতে হয়েছিল। বঙ্গ, কলিঙ্গ, মগধ, সপুণ্ড্রক প্রমুখদের সাথে তাম্রলিপ্তের রাজাও সভায় উপস্থিত ছিলেন। ৩. ঐ সভাপর্ব থেকে আরও জানা যায়, দেশের অন্যান্য রাজন্যবর্গের সাথে, সুসজ্জিত অশ্ব এবং হস্তীবাহিনী সহ তাম্রলিপ্তের রাজাও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন। কেবল অশ্বমেধ যজ্ঞ

Khipteshwari(Kheputeshwari) Mandir, Kheput, Paschim Medinipur

Image
  Khipteshwari Vigraha Stone curved murthy of Binapani.  The establishment plaque.  A very rare depiction on terracotta. Depictions of coitus is nothing surprising in Hindu temples as sexuality is not a taboo subject but rather the most important creative element that sustains the species. However, this doesn’t seem to be anything sexual - or is it? It seems that the woman is holding open her vagina and man is beneath her looking up at it with his mouth open - what is he doing? Is this symbolic of man's desire to find his origin? Or is he simply checking out her vagina as part of some recreational sexual activity? A local told me that the woman was urinating in the man's mouth, but that is unacceptable to me until I find further evidences of such depictions and their hidden meanings, if any.  ক্ষেপুতেশ্বরী মন্দির, ক্ষেপুত, দাসপুর ধীর প্রবাহী নদ রূপনারায়ণ। এর পশ্চিম পাড়ের একাংশ জুড়ে মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা। সেখানে উত্তরবাড় আর দক্ষিণবাড় দুই মৌজা মিলে একটি গ্রাম গড়ে উঠেছে-- ক্

Khargeshwar Shiva Mandir, Kharagpur, Paschim Medinipur

Image
খড়্গেশ্বর শিব মন্দির, ইন্দা, খড়্গপুর 'বাংলায় ভ্রমণ' নামে ভারতীয় রেলপথ বিভাগের প্রকাশিত একটি গ্রন্থ আছে। সেখানে খড়্গপুরের পরিচিতি হিসাবে বলা হয়েছে-- "রেলের কল্যাণে  খড়গপুর একটি নগন্য গন্ডগ্রাম হইতে প্রশস্ত রাজবর্ত্ম শোভিত ও বিদ্যুৎ-আলোকোজ্জ্বল বিশাল শহরে পরিণত হইয়াছে।  ... পূর্বে এই স্থানে একটি বিস্তীর্ণ মরুভূমির মত তরুলতাহীন উচ্চ ভুখন্ড ছিল। চারিদিকে সমতল ভূমি হইতে ইহা প্রায় ৪০ ফুট উচ্চ ছিল এবং লোকে ইহাকে ' খড়্গপুরের দমদমা ' বলিত। ইহার উপর হইতে চতুর্দিকে বহুদূর গ্রামগুলিকে নিম্নভূমি বলিয়া মনে হইত। খড়্গপুরে মাটির রঙের পরিবর্তন লক্ষিত হয়। এখান হইতেই পাথুরে মাটি ও গৈরিক রঙ আরম্ভ হইয়াছে। "   খড়্গপুর বা মেদিনীপুর শহর হল ছোটনাগপুর মালভূমির পূর্বদিকের প্রলম্বিত প্রান্তদেশ। প্রকৃতপক্ষে এখান থেকেই রক্তবর্ণের উচ্চাবচ ভূমির সূচনা।  কিন্তু রেল পত্তনের আগে যে খড়্গপুর গন্ডগ্রাম ছিল, একটি প্রাচীন শিবালয় ছিল সেখানে। ছিল মহাভারতের সাথে কিংবদন্তির সুতোয় বাঁধা দেবী হিড়িম্বেশ্বরী-র একটি মন্দিরও। অবশ্য রেলবিভাগ এই দুটি মন্দিরের বিষয়ও উল্লেখ করেছে গ্রন্থটিতে-- " স্টেশনের নিকট

Sitaram Mandir, Ghatal, Paschim Medinipur

Image
  সীতারাম মন্দির, খড়ার-উদয়গঞ্জ, ঘাটাল মেদিনীপুর জেলার উত্তর-পূর্ব এলাকার এক সমৃদ্ধ জনপদ খড়ার। এর সমৃদ্ধি আর খ্যাতি নির্মিত হয়েছিল মুখ্যত কাঁসাশিল্পের কারণে। অর্থনৈতিক বিকাশ শুরু হলে, এখানে এসে উপস্থিত হয়েছিল স্বর্ণবণিকেরাও। এই দুই হস্তশিল্পের সুবাদে, বহু ধনাঢ্য পরিবারের উদ্ভব হয়েছিল খড়ারে। তাঁদের হাতে বিশাল বিশাল অট্টালিকা, বহুসংখ্যক দেবালয়ও নির্মিত হয়েছিল। তার অনেকগুলোই আজ আর টিকে নাই। যেগুলি আছে, তাদের ইতিহাসও জানা নাই সকলের। ধূলিমলিন সেই ইতিহাসের কয়েকটি পাতা উল্টে দেখব আমরা। খড়ার নগরীর আকারে সবচেয়ে বড়, এবং একমাত্র ত্রয়োদশ-রত্ন মন্দিরটি হলো এই সীতারাম মন্দির।  একসময় কাঁসাশিল্পে বেশ বড় মাপের একজন উৎপাদক এবং ব্যবসায়ী ছিলেন জনৈক ব্রজলাল মাজী। খড়ারের উদয়গঞ্জ মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। খড়ার বা ঘাটাল শহরে দোকান তো ছিলই, সারা জেলাতে তাঁর বাসনের কদর ছিল। কদর ছিল লাগোয়া বাঁকুড়া, বর্ধমান আর হুগলি জেলাতেও।  এমনকি, কলকাতার বাজারেও মাল রপ্তানী করতেন ব্রজলাল। গরু-মোষের পিঠে ছালা করে, বা গাড়িতে চাপিয়ে ঘাটালের কুঠিঘাটে মাল নিয়ে যেতেন। সেখান থেকে ভাউলে নৌকা বা স্টিমারযোগে রূপনারায়ণ আর হুগলি নদীর বু