Swastika and Lajjagouri

এটি স্বস্তিকা চিহ্ন। সু+অস্তিকা=স্বস্তিকা।
প্রসবরতা নারী, যিনি এবং যে মুহূর্তটি অস্তিত্বের ধারক, বাহক,সেই মুহূর্তটির প্রতীক।
বেদে এই চিহ্নের প্রচলন নেই।তবে ঠিক কবে থেকে এর উদ্ভব বলা মুশকিল।

লজ্জাগৌরী বাঙালির নিজস্ব মাতৃকা উপাসনার প্রাচীন প্রতীক।

বহু মানুষ এই চিহ্নটিকে বসুধারা বা বসুন্ধরা মাতৃকার প্রাচীন রূপ বর্ণনা করেছেন।

বাঙালির প্রাচীন মাতৃপূজক সংস্কৃতিতে এই চিহ্নে প্রসবরতা মাতৃকাকে উপাসনা করা হত। দেবী দুই পা ভাঁজ করে প্রসবরতা অবস্থায় অধিষ্ঠিতা এবং দুই হাতে জগতকে ধারণ করে আছেন; এই ছিল মূর্তিটি। 

পঞ্চ বা সপ্তধারা সৃষ্টির আবহমান প্রবাহের প্রতীক। এঁকেই লজ্জাগৌরী বা অদিতি উত্তানপাদ বলা হয়। 

আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগেকার গঙ্গারিডি যুগের বাঙালির প্রাচীন নগরকেন্দ্রে এরকম মূর্তিও পাওয়া গেছে। স্বস্তিকা তথা চেদিরাজের সাথে এর যে সম্পর্ক কল্পনা করা হয় তা নিতান্তই ভুল মনে করা হয়।

আসলে লজ্জাগৌরী মূর্তি ভারতের বহু অঞ্চলে বিশেষত দাক্ষিণাত্যে পাওয়া গেছে।ইতিহাস  তাই বলছে। বাদামীর লজ্জা গৌরী মন্দির তো বিখ্যাত।

দক্ষিণ ভারতে মাতৃকা উপাসনার ইতিহাস ও বহু প্রাচীন। বস্তুত সারা ভারতবর্ষে মাতৃকা উপাসনার ও ফার্টিলিটি কাল্টের উপাসনা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে প্রচলিত। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়।

সুন্দরবনে প্রাপ্ত গঙ্গারিডি যুগের একটি বসুন্ধরা মাতৃকা বা লজ্জাগৌরী মূর্তি পাওয়া গেছে ।
পুরাতত্ত্ববিদগণ তাই বলছেন।

আবার এই চিহ্নটিকে পূর্ববঙ্গে পুত্তাল বলে। অর্থাৎ 
পুত্তলিকার মৌখিক রূপ। একটি মানবাকৃতির সরল লৌকিক রূপ।

 প্রাচীন ভারতের লোক শিল্পের ইতিহাস‌ ও তাই বলে এবং এটিকে উর্বরতার দেবী বসুধা ফোক ফর্ম ।

তথ্য ও ছবি সংগৃহীত।

Comments

Popular posts from this blog

Ram Sita Coin from Akbar's Era

Jagannath Mandir, Mirgoda, Purba Medinipur

Manasa Mangal Kavya